আলীবাবা ফুড এন্ড কনজুমার লিঃ এর ফ্যাক্টরী সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ফ্যাক্টরির কার্যক্রম বন্ধ করতে ফিফু না মেনে অর্থাৎ যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারী না দিয়ে গোডাউনে পণ্য রেখে ড্যামেজ করে এবং সে পণ্য ফেরত দেওয়া এবং সে পন্য ফেরত না নিলে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকিধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফ্যাক্টরির দুইজন স্টাফ এবং তিনজন ডিপোর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ফ্যাক্টরী মালিক রাজিব চন্দ্র ঘোষ (৩১) গত ৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ফ্যাক্টরির মালিক রাজিব চন্দ্র ঘোষ সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, বিবাদী ডিপো ১. সামলিনা এন্টার প্রাইজ,প্রোপাইটর মোঃ সেলিম উদ্দীন, পিতাঃ শাহ নেওয়াজ, বাইলেন, ভাটিকাশর, ময়মনসিংহ সদর, ময়মনসিংহ। ২. মেসার্স তয়া এন্টার প্রাইজ প্রোপাইটর: গনেশ চন্দ্র পোদ্দার, পিতা: চিত্ত রঞ্জন পোদ্দার, পাচদোনা মোড়, নরসিংদী। ৩. মেসার্স আল-আমিন ট্রেডিং, প্রোপাইটর: মোঃ নুরুল আলম, গ্রামঃ কামাল বাজার, থানাঃ মোহরা, জেলা: চান্দগাও, চট্টগ্রাম। ৪. এরিয়া ম্যানেজার। জীবন পাল, পিতা: সুখেন্দ্র পাল, গ্রাম এবং পোস্ট: পাচদোনা জেলা: নরসিংদী।
। আমার ফ্যাক্টরী হতে নেওয়া পণ্য ফিফু না মেনে অর্থাৎ যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারী না দিয়ে গোডাউনে পণ্য রেখে ড্যামেজ করে এবং সে পণ্য ফেরত দেয়। আমি সে পন্য ফেরত না নিলে অন্যান্য বিবাদীগন এবং ৩নং বিবাদী মোবা-০১৮৫৯৯৯***৬ ডিপো এবং এরিয়া ম্যানেজার আমাকে বিভিন্ন ভাবে লোক মারফত ফোনে গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত।
আলিবাবা কনজুমার ফুড এন্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস এর স্বত্বাধিকারী রাজিব চন্দ্র ঘোষ জানান, তারা দীর্ঘদিন সুনামের সহিত মিষ্টি কনজুমার ফুড উৎপাদন ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন , কোম্পানি কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যোগ সাজছে কোম্পানির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে চক্রান্ত চালাচ্ছে। দু ‘একজন এজেন্টের সাথে সমস্যা হয়েছিল বটে তবে সেগুলো আমি যথারীতি নিয়ম মেনে সমাধান করেছি । এছাড়াও কারো যদি কোন ধরনের যৌক্তিক অভিযোগ থাকে শতভাগ নিয়ম মেনে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, যে অভিযোগকারী নূরে আলম চিটাগাং এর জেলার ডিলার তাকে আমি একাধিক বার অফিসে এসে কাগজপত্র দেখিয়ে সে যদি কোন পাওনা থাকে সেটা আমি মিটিয়ে দেওয়ার শতভাগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তিনি কোম্পানির দুইজন কর্মকর্তার ১)জীবন পাল (মার্কেটিং অফিসার) ,
মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন(অফিস আইএমএস) এই দুইজন ব্যক্তি একসাথে একাধিক কোম্পানিতে ২ থেকে ৩ মাস চাকরি করে ডিপোর পণ্য বিক্রি না করে গোডাউনে স্টক করে পণ্য নষ্ট করে, অসাধুভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কোম্পানিকে ধ্বংস করে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। আমার সাথে কোন ডিলার পয়েন্ট কোম্পানির নিকট কোন ধরনের দেনা-পাওনা নেই।
আলিবাবা কনজুমার ফুড এন্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস এর জীবন পাল (মার্কেটিং অফিসার) এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘ ৫ মাস কোম্পানিতে চাকুরী করেছি এখনও ২ মাসের বেতন পাওনা আছি। আমার সাথে কোন ডিপোর কোন সখ্যতা নেই। আলিবাবা কনজুমার ফুড এন্ড বেভারেজ এর প্রডাক্ট ত্রুটি থাকার কারনে ডিপোরা তাদের প্রডাক্ট মেয়াদ থাকা কালিন ফেরত দিয়েছে। তিনি তা ফেরত নেব নিচ্ছি বলে সময় অতিক্রম করে পরে ফেরত নিয়েছে এবং কিছু ডিপোর প্রডাক্ট ফেরত নেননি। তাদের প্রায় এগারোজন ডিপো আছে, তাদের সাথে কথা বললে সব জানতে পারবেন, এখানে আমার কোন হাত নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
অভিযুক্ত অফিস আইএমএস আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আলিবাবা কনজুমার ফুড এন্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস এর মালিক রাজিব চন্দ্র ঘোষ স্যারের ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমি সেই প্রতিষ্ঠানের একজন সাধারণ কর্মচারী ছিলাম মাত্র। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।
রাজিব চন্দ্র ঘোষ আরও জানান, আমাদের পারিবারিকভাবে আমার বাবার হাতে গড়া আলিবাবা সুইটস নামক প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনামের সাথে সরকারের সকল ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করে রাষ্ট্রীয় আইন নীতিমালা মেনে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কারো সাথে প্রতারণা করা তো প্রশ্নই আসেনা। সম্প্রতি আমার নামে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আমি মনে করি। অসত্য মিথ্যা ঘটনার সমর্থন করতে পারি না বিধায় উল্লেখিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একটি চক্র
প্রতিহিংসাবশত ও নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এতে করে আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।