শুরুতে ছিলেন সাক্ষী। পরে আসামি। শেষপর্যন্ত সাক্ষ্যপ্রমাণে পরের ভূমিকাকেই আমলে নিলেন বিচারক। বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার দায়ে তার স্ত্রী আয়েশা মিন্নিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাথে ফাঁসির আদেশ হয়েছে আরও পাঁচ আসামির। খালাস পেয়েছে ৪ জন।
সেদিনের সে নৃশংসতায় বাধা দিয়েছিলেন রিফাতের স্ত্রী মিন্নি। তবুও বাঁচাতে পারেননি রিফাতকে। এ হত্যা মামলায় প্রথমে সাক্ষী হলেও পরে আসামির খাতায় নাম ওঠে মিন্নির।
রায় শুনতে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালেই বাবাকে নিয়ে আদাল প্রাঙ্গণে আসেন আয়েসা সিদ্দিকা মিন্নি। স্বামী রিফাত হত্যায় অন্য পাঁচ আসামীর সাথে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলো রিফাত ফরাজী, রাব্বি আকন, সিফাত, টিকটক হৃদয় ও হাসান। আর খালাস পেয়েছেন মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।
মেয়ের সাজা পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মিন্নির বাবা। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, উচ্চ আদালতে করা হবে আপিল।
মিন্নি ও তার প্রেমিকের কারণে প্রাণ হারানো রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ অবশ্য সন্তুষ্টি জানিয়েছেন এ রায়ে।
২০১৯ সালের ২৬ জুন, বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে, রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে, নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। এ মামলায় গত বছরের পয়লা সেপ্টেম্বর, স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুই ভাগে অভিযোগপত্র দেয়, পুলিশ। তবে, বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত হওয়ায়; তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ মামলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আসামির বিচারকাজ চলমান আছে বরগুনা শিশু আদালতে।