ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও বিচার
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  5. খেলা
  6. ফটোগ্যালারি
  7. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. বিবিধ
  10. রাজনীতি
  11. শিক্ষা
  12. শিল্প ও সাহিত্য
  13. সারাবাংলা
  14. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হকারদের দখলে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনের কার পার্কিং

নবযুগ বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে কার পার্কিংয়ের জায়গা দখল করে শতাধিক হকার বসানো হয়েছে। ফলে নির্ধারিত জায়গায় গাড়ি রাখা যাচ্ছে না। সঙ্গত কারণে রেলওয়ে স্টেশনে আসা যাত্রীদের গাড়ি পার্কিং নিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের ছত্রছায়ায় কার পার্কিংয়ের এ জায়গা দখল করে অনেকটা হকার মার্কেটে পরিণত করা হয়েছে। এর সঙ্গে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা ও রেল পুলিশ যুক্ত রয়েছে। এখানে প্রায় তিনশ হকার বসিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে কার পার্কিং, লেভেল ক্রসিং এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে ছোট ছোট দোকান। এসব দোকান ভ্রাম্যমাণ হলেও তাদের চারপাশে নানা ধরনের জিনিসপত্র সাজিয়ে নিয়ে বসেছে। বিশেষ করে খাবার ও চায়ের দোকানগুলোতে চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আর বেশিরভাগ কাপড়ের দোকান বসানো হয়েছে ভ্যান গাড়ির উপর।
হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এ জায়গা দখলে নিয়েছেন তারা। দোকান বসানোর বিনিময়ে এককালীন ও দৈনিক চাঁদা দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ অভিযানের আগেই চাঁদা আদায়কারীরা তাদের তথ্য দিয়ে যান। এতে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগেই দোকান নিয়ে সটকে পড়েন তারা। অভিযান শেষ হলে আবারও দোকান বসানোর জন্য চাঁদা আদায়কারী লাইনম্যানরাই তথ্য দিয়ে যান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব দোকান থেকে প্রতিদিনই মোটা অঙ্কেট টাকা দিতে হয় হকারদের। বিভিন্ন দফায় চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫শ টাকা, খাবারের দোকান থেকে এক হাজার টাকা, কাপড়ের দোকান থেকে দেড় হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এখানে তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। এসব দোকানের চাঁদা ভাগ হয়ে যায় স্থানীয় ক্ষমতাসীন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি ও জিআরপি) ও স্টেশনকর্মীদের পকেটে।
এ বিষয়ে আরএনবি’র চিফ ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলামকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে। বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা না বলে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি